ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​অন্য কোন দেশের পতাকা এই মাটিতে উড়তে দেওয়া হবে না : আওয়ামী লীগ

আপলোড সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০৮:২৫:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৩-১০-২০২৪ ০৮:৩৯:০১ অপরাহ্ন
​অন্য কোন দেশের পতাকা এই মাটিতে উড়তে দেওয়া হবে না : আওয়ামী লীগ
বাংলা স্কুপ, ৩ অক্টোবর:
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে সেন্ট মার্টিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, অন্য কোন দেশের পতাকা এই মাটিতে উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো-

প্রিয় দেশবাসী, 
আসসালামুআলাইকুম। সবাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন। 
জানি আপনারা ভালো নেই। দেশের সার্বিক অবস্থা চারদিকে সবার মাঝে এক সংকটময় অরাজক পরিস্থিতি তৈরী করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দলের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে কোন পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবে ইনশাল্লাহ। আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। 

প্রিয় দেশবাসী, 
আপনারা সবই জানেন, সবই দেখেছেন। এখন হয়তো সবকিছু অনুধাবন করতে পারছেন, কী পরিস্থিতিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা আরও লাশ চেয়েছিলো। তিনি চাননি আর কোন বাবা-মায়ের বুক খালি হোক। তাই সময়ের প্রয়োজনে এই সাময়িক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন, মহামান্য আদালতের রায় শিক্ষার্থীদের সব দাবির পক্ষেই গিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আমাদের সরকার তাদের সকল দাবি মেনে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা দিয়েছিলো। নিহত সকল পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলো, আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলো। তারপরও কেন এই অরাজকতা, এতো হত্যা, এতো ধ্বংসযজ্ঞ করা হলো? কারণ, এর পিছনে ছিলো ক্ষমতা দখলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্র। আপনারা দেখেছেন ১৬ জুলাই থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে কিভাবে দেশের রাজনৈতিক অপশক্তি ও বিদেশি এজেন্টরা কীভাবে হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এমনকি ছাত্রদের উপর ৭.৬২ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তোলা হয়। কীভাবে ঢাকা শহরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কীভাবে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, বৌদ্ধ মঠে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। কত নিষ্ঠুরভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক হত্যা এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পাঁচই আগস্ট কীভাবে বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার, জাতীর পিতার স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধ্বংস করা হয়েছে। 

বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন জাতীয় সংসদ ভবন ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবন, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গের সরকারি, বেসরকারি অফিস আদালত বাসভবন পোড়ানো ও লুটপাট করা হয়েছে। আপনারাই ভেবে দেখুন, এইসব সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের সাথে কোটা আন্দোলনের কি সম্পর্ক ছিলো। যে পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, পরিকল্পিতভাবে কিভাবে তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং ৪৫০টি থানা ও অস্ত্রাগার লুট করা হয়েছে। নিষ্ঠুরভাবে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা পুলিশ অফিসারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কতজন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে এই সংখ্যাও জাতির সামনে এখনো সরকার প্রকাশ করছে না। এর সবই ছিলো ক্ষমতাদখলের একটি ষড়যন্ত্র। তখন সরকার আরও কঠোর হলে হয়তো আরও লাশ পরতো, আরও অনেক বাবা-মায়ের বুক খালি হতো। তাই মানুষের জানমাল রক্ষায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। 

প্রিয় দেশবাসী, 
আপনারা ইতিমধ্যেই শুনেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে এই অবৈধ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস বলেছেন, এই আন্দোলন একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এর পিছনে দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিলো এবং এর মাস্টারমাইন্ড হিসাবেও একজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেকদিনের পরিকল্পনার ফসল নাকি তার এই সরকার। এ থেকে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে এটা ছাত্রদের কোটার আন্দোলন ছিলো না। তাই সকল দাবি মেনে নেয়ার পরও তারা পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে অরাজকতা চালিয়েছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে আপনারাও নিশ্চয় এখন অনুধাবন করতে পারছেন। আপনারা বুঝতে পারছেন, কেন সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সংরক্ষিত করে কার্যত জনগণের যাতায়াতের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক সহিংসতা তৈরি করা হচ্ছে! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের আশ্বস্ত করছে, আমাদের বুকে এক বিন্দু রক্ত থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোন দেশের ঘাঁটি হবে না। এই দেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও আড়াই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে কেনা। এই দেশ বাঙালির ২৪ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। অন্য কোন দেশের পতাকা এই মাটিতে উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। 

প্রিয় দেশবাসী, 
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা দেখেছেন, সারাদেশে কীভাবে শিক্ষক সমাজকে অপমান করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষদেরকে জুতার মালা পরিয়ে প্রহার করার মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শিক্ষকদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করাচ্ছেন ছাত্ররা, শিক্ষকদের চেয়ার দখল করে সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে আছে। এটা কি আমাদের সংস্কৃতি? শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করার যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই সংস্কৃতি কেন নষ্ট করা হয়েছে? কাদের স্বার্থে নষ্ট করা হয়েছে? অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। শিক্ষার্থীরা এখন থাকবে ক্লাশ ও শিক্ষাঙ্গণমুখী । কিন্তু এখনই তাদেরকে সচিবালয় এবং ক্ষমতামূখী করে পরিকল্পিতভাবে কেন ধ্বংস করা হচ্ছে? জাতি ধ্বংসের এই পরিস্থিতি চলতে দেয়া যায় না।  

আপনারা দেখেছেন, আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদও ভাংচুর ও লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। খোদ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে পর্যন্ত লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজে খুতবারত অবস্থায় কীভাবে ভাংচুর, হামলা ও পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সবই করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে, স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে বাইরের কোন দেশকে বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির সুযোগ করে দেয়া। 

প্রিয় দেশবাসী, 
পাঁচই আগস্টের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড, অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তা খুবই ন্যাক্কারজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। নির্বিচারে তাদের উপাসনালয়, ঘর বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে, তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আপনারা দেখেছেন, শান্তির ধর্ম ইসলাম যারা এই দেশে প্রচার ও প্রসার করেছেন, সেই পীর-আউলিয়াদের মাজার কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হয়েছে, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। এইসব কিসের লক্ষণ? এই সবকিছুর সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের বিচার অবশ্যই করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপর্যুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নতুবা উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় এই অবৈধ ইউনূস সরকারকেই বহন করতে হবে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকে বলবো, দেশে এ পর্যন্ত সংঘঠিত সকল হত্যাকাণ্ড, লুটতরাজ, ভাংচুর, আগুন সন্ত্রাস, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করুন। নতুবা আপনারাও এর দায় থেকে মুক্তি পাবেন না। 

প্রিয় দেশবাসী,
আপনারা দেখেছেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ এবং দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করেছে। তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে প্রায় পঁচিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে উন্নীত করেছিলো। শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ দেশের মানুষ বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট করছে। এই কয়দিনেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ, সেই দিকে কোন নজর নেই, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অবৈধ ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগ নিধনেই বেশি ব্যস্ত। 
আপনারা দেখছেন, প্রশাসনে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে অসন্তোষ তৈরি করা হচ্ছে। ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করায় কতজন আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে তা কোন মিডিয়াও প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না। 
বেতন ভাতা নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আন্দোলন করায় ইতিমধ্যে দুজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়া খুললেই আপনারা দেখবেন, আমাদের মা বোনদেরকে পথেঘাটে কীভাবে অপমান, অপদস্ত করা হচ্ছে। নারী শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। দিন দুপুরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ছিনতাই এখন নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার। এর কোন প্রতিকার নেই। এর কোন কিছুই মিডিয়াতেও প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার মিডিয়া অফিস দখলে ইতিমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এই পর্যন্ত সারাদেশে দেড় শতাধিক সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে। তিন শতাধিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এরাই আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলে। 

প্রিয় দেশবাসী, 
সম্প্রতি ড. ইউনূস বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসেট বাটন দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার  কথা বলছেন। যা খুবই আপত্তিজনক এবং নিন্দনীয়। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য যতই রিসেট দেন না কেন, দেশের মৌলিক ও অস্তিত্বের ইতিহাসগুলো মুছার ক্ষমতা ওনার নাই। মুছতে পারলেতো বাংলাদেশই থাকবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা হচ্ছে বাংলাদেশের মৌলিক ভিত্তি, আমাদের জাতিগত অস্তিত্বের জায়গা। দেশকে তিনি শাসন-শোষণ যাই করুন, এসব গৌরবময় অধ্যায় মেনে নিয়েই করতে হবে। 

প্রিয় দেশবাসী, 
আপনারা দেখেছেন পাঁচ আগস্টের পর সারাদেশে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কীভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, বসতভিটা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখল ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সাধারণ মানুষও চাঁদাবাজি ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। হ্যা, কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিলো। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করেছিলাম। অপরদিকে, এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশের সকল শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত সকল জঙ্গিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রহরায় মুক্তি দিয়ে আরও বেশি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ সন্ত্রাসীরা বুঝে গেছে, অপকর্ম করলে তাদের কোন শাস্তি হবে না। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, সাধারণ মানুষসহ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে এবং এখনই এই নারকীয় অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিবেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এর স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। 
ইনশাল্লাহ! 
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু।

পোস্ট লিংক : https://www.facebook.com/awamileague.1949

ডেস্ক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ